কামরা মাতাল
Read Count : 136
Category : Diary/Journal
Sub Category : N/A
রবি ঠাকুর, বৈশাখ মাসের ২৫ তারিখ..ইতিবৃত্ত নয়, ব্যাপার খানা একটু ভিন্ন স্বাদের.. বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বর্ণপরিচয়ের মতো, "সহজপাঠ" ও শৈশবী যাত্রা য় খানিকটা সংকেত-গৃহ র মতো। গল্পগুচ্ছ, কথা ও কাহিনী ও এর অন্যত্র নয় বৈকি... সারা জীবন দিলো আলো, আলো আমার আলো এইগুলো দিয়ে তো আবার আদো আদো গলায় আমাদের গানের বুলির শুরু।ভানুসিংহ ঠাকুর,অশপটচন্দ্র ভাস্কর,আন্নাকালী পাকড়াশী,দিকশূন্য ভট্টাচার্য,নবীনকিশোর শর্মন,ষষ্ঠীচরণ দেব শর্মা,বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ,শ্রীমতী কনিষ্ঠা,শ্রীমতী মধ্যমা... তবে এখানেই শেষ নয় বুড়োটা কে "লুচ্চা" নামে অভিহিত করেছেন সমাজের কিছু তথাকথিত শিক্ষিত..! মজার বিষয় খানা হলো গিয়ে এরাই আবার "চোখের বালি"-র পাতা ওল্টায়..! হয়তো মনের চাইতে শরীরের তৃপ্তিই বেজায় ভালো..আচ্ছা তবে জাতীয় সঙ্গীতের দরুন তোরা খাড়া থাকিস কেন্?বছরখানেক আগের কথা, সম্ভবত তখন আমার সেকেন্ড ইয়ার,, আমার স্টাডি রুমটাতে রবি ঠাকুরের একটা পোট্রেট আছে,, পরিচিত একজনের সহিত জমিয়ে কথোপকথন চলছে এমন সময়,,সচতুর অনুমানে ছবিটির দিকে তর্জনী খান দেখিয়ে বলেছিলেন " তুই এই বুড়োটার ভক্ত..! ছিঃ! মতিভ্রম হয়েছে তোর! মরে যাস না কেন! আমি বাবা শরৎচন্দ্রের ভক্ত"......! তেলে বেগুনে জ্বলছি তখন আমি.. মনে হচ্ছিল এক ঘুষি তে নাকটা ফাটিয়ে দিই.. কষ্টেশিষ্টে সামাল দিয়েছিলাম নিজেকে। "মা" বলেছিলেন "খামোখা রাগ করিস কেন? শোন্ যে শরৎচন্দ্রের সে রবি ঠাকুরের ও , আর যে রবি ঠাকুরের নয় সে কখনোই শরৎচন্দ্রের নয়,, মনে রাখিস".. কথাটা শূলের মতো বিঁধেছিল.. মনে মনে বেশ আরাম পেয়েছিলাম । রবি-শরৎ-বঙ্কিম-বিভূতি-নজরুল দের কলম দাপট খানিকটা মৃত্যু কাপে চুমুকের ধরন,,,, শেষ পানেতে হৃৎ-এর ছুটি...ইধার-উধারে খেপ খেটে বেড়ানো তথাকথিত শিক্ষিত-র তকমাটে ওই "লুচ্চা বুড়ো" টাই আমার "কবিগুরু", মাঝে মাঝে তবো দেখা পাই, চিরদিন কেন পাইনা তারে...চোখের বালি , গোরা , ঘরে বাইরে, চতুরঙ্গ, শেষের কবিতা , যোগাযোগ-এর পীড়িতি কামড়ে আমি অর্ধমৃত..! হোক না ক্ষত তবুতো অন্তঃকরণের আরাম... ওইখানে তেই তাঁকে আবিষ্কার করতে পেরেছি। কামরা মাতালের একদিন.....আমার প্রথম উপার্জন এক অঙ্ক সৃষ্টিকর্তা,, হ্যাঁ সেই "দাড়িওয়ালা বুড়োটা".....একটু আগেও শুনছিলাম ভূপেন হাজারিকা-র,,,"সবার হৃদয়ে রবীন্দ্র নাথ"...
Comments
- No Comments